অভিভাবকের প্রতি পরামর্শ/করণীয়
১. প্রিয় সন্তানকে বিদ্যালয়ের পাঠানো অভিভাবকদের যেমন নৈতিক দায়িত্ব তেমনি মানসিক, মানবিক এবং চারিত্রিক অগ্রগতির খোঁজ নেওয়া তাদের পবিত্র দায়িত্ব।
২. আপনার সন্তানের বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি নির্ধারিত ইউনিফর্মে নিশ্চিত করুন। কোনো শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ের মোট কার্যদিবসের ন্যূনতম ৭০% উপস্থিতি নিশ্চিত না হলে তাকে নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে গণ্য করা হবে না এবং পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তরণের পরীক্ষার জন্য বিবেচ্য হবে না।
৩. আপনার সন্তানের বিদ্যালয়ের নিয়ম শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো অমার্জনীয় অপরাধের ক্ষেত্রে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
৪. অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিং অথবা ওয়েবসাইটের এর মাধ্যমে বেতন পরিশোধ সমীচীন। প্রতি মাসে বেতন চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। ১৫ তারিখের পর নির্ধারিত হারে জরিমানাসহ বেতন পরিশোধ করতে হবে।
৫. শিক্ষার্থীর সার্বিক উন্নতিকল্পে অভিভাবকদের সহযোগিতা এবং পুনঃ পুনঃ আলোচনা ঐকান্তিকভাবে কাম্য। এ প্রসঙ্গে সহায়তার জন্য প্রথম মেয়াদী পরীক্ষার পাঠোন্নতি বিবরণী অভিভাবক-শিক্ষক সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এই সম্মেলন শ্রেণি শিক্ষক/শিক্ষিকা দ্বারা পরিচালিত হয়।
৬. আপনার সন্তানের পড়ালেখার অগ্রগতি, উন্নতি ইত্যাদি সার্বিক অবস্থা জানার জন্য শ্রেণি শিক্ষক অথবা প্রয়োজনে কো-অর্ডিনেটরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে।
৭. আপনার সন্তান নিয়মিত বাসায় পড়ালেখা করছে কী না সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন এবং প্রতিদিন ডায়েরি চেক করে স্বাক্ষর দিবেন।
৮. মনে রাখতে হবে অভিভাবক ও শিক্ষকের সম্মিলিত প্রয়াসের ফলে শিক্ষার্থীর পাঠোন্নতি ও সুন্দর চরিত্র গঠন সম্ভব।