📢 সর্বশেষ নোটিশ :
হলদে
পাখি/গার্ল গাইডস/রেঞ্জার ইউনিট
সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশক্রমে ৭ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি.
তারিখে সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজে আনুষ্ঠানিকভাবে রেঞ্জার ইউনিট (কলেজ
শাখা)-এর কার্যক্রম শুরু হয়। এটি বাংলাদেশের গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশনের
অধিভুক্ত একটি স্বেচ্ছাসেবী ইউনিট, যা মেয়েদের নেতৃত্ব, সামাজিক সচেতনতা ও মানবিক
মূল্যবোধ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
রেঞ্জারের মূলমন্ত্র ও উদ্দেশ্য
রেঞ্জারের মূলমন্ত্র "সমাজসেবা"—এই আদর্শকে কেন্দ্র করে
রেঞ্জাররা আত্মোৎসর্গের মানসিকতা নিয়ে সমাজের কল্যাণে কাজ করে। শিক্ষার্থীদের
নৈতিকতা, মানবতা, সহমর্মিতা, দায়িত্ববোধ এবং নেতৃত্বের গুণাবলী বিকশিত করাই এর মূল
লক্ষ্য।
কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ
রেঞ্জার ইউনিটের সদস্যরা নিয়মিতভাবে অংশ নেয় বিভিন্ন গঠনমূলক ও
শিক্ষামূলক কার্যক্রমে। এর মধ্যে রয়েছে—
·
সামাজিক সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন (যেমন: ডেঙ্গু প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ
প্রতিরোধ, নারী স্বাস্থ্য সচেতনতা)
·
সেবা কার্যক্রম (যেমন: আশ্রয়কেন্দ্রে খাদ্য বিতরণ, বৃক্ষরোপণ,
রক্তদান কর্মসূচি)
·
হাইকিং ও ক্যাম্পিং (যা আত্মনির্ভরতা, ধৈর্য ও শারীরিক সক্ষমতা গঠনে
সহায়ক)
·
র্যালি ও শোভাযাত্রা (জাতীয় দিবস, নারী দিবস ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ)
·
সেমিনার ও ওয়ার্কশপ (নেতৃত্ব উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সমাজকল্যাণমূলক
উদ্যোগ)
·
প্রাথমিক চিকিৎসা, অগ্নিনির্বাপণ এবং নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ
·
নানা ধরনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ
ব্যক্তিত্ব ও
নেতৃত্ব বিকাশ
রেঞ্জার ইউনিটের কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আত্মবিশ্বাসী,
পরিশ্রমী ও সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলে। তারা দলগত কাজের মাধ্যমে
সহযোগিতা, সহনশীলতা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা অর্জন করে। রেঞ্জাররা শৃঙ্খলা,
সময়ানুবর্তিতা ও নেতৃত্বের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য প্রস্তুত করে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে সুযোগ
রেঞ্জাররা
শুধুমাত্র কলেজে সীমাবদ্ধ না থেকে জাতীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণ, ক্যাম্প এবং
আন্তর্জাতিক স্কাউট ও গার্লস গাইড প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে। এতে তারা বাংলাদেশের
প্রতিনিধিত্ব করে এবং বৈশ্বিক দক্ষতা ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায়।
উপসংহার
সিভিল
এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের রেঞ্জার ইউনিট মেয়েদের একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম, যা
তাদের সামাজিক দায়িত্ববোধ সম্পন্ন, সৃজনশীল, উদ্যমী এবং নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।